“শবে বরাতের হাদীসগুলি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, হযরত আলী রদিযাল্লাহু তায়ালা আনহু বর্নিত হাদীসটি একেবারেই বানোয়াট। সুতরাং তার উপর আমল করা উম্মাতের আলেমদের ঐক্যমতে জায়েজ হবে না।” নাউজুবিল্লাহ! সুত্র/ ড: আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ যাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক, আল ফিক্বহ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
এর জওয়াবে বলতে হয়, নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীস শরীফ পরিক্ষা নিরীক্ষা করার যোগ্যতা ওহাবীদেরকে কে দিয়েছে? তারা কি সেক্বাহ রাবীর যোগ্যতা সম্পর্কে বেখবর হয়ে গেছে? তারা দায়েমীভাবে হারাম কুফরীতে মগ্ন থেকে কি করে হাদীস শরীফ পরীক্ষা করার দু:সাহস দেখায়? অথচ চরম শ্রেনীর নেককার পরহেজগার আল্লাহওয়ালা বুজর্গ ইলমে লাদুন্নী প্রাপ্ত উলামা মাশায়িখ উনারা ছাড়া অন্য কেউ হাদীস শরীফ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখার যোগ্যতা রাখেনা। আসল কথা হলো ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যখন ইলমে লাদুন্নীপ্রাপ্ত হাদীস শরীফ এর সুমহান ইমামগন পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কিত বর্ননাগুলোকে শক্তিশালী সহীহ পেয়েছেন তখনই উনারা উনাদের কিতাব পত্রে শবে বরাত সম্পর্কিত বর্ননা সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন। যেমন সহীহ ইবনে মাযাহ শরীফসহ অসংখ্য হাদীস শরীফ এ বর্নিত হয়েছে- “হযরত আলী রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হুযুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হতে বর্ননা করেন, যখন শাবান মাসের মধ্য রাত্রি তোমাদের মাঝে উপস্থিত হবে তখন সারা রাত্রি তোমরা নামাজ কালাম ইবাদত বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোজা রাখবে।” এখন এই হাদীস শরীফ এ নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেখা যাচ্ছে যা পালন করা উম্মতের জন্য ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে যায়। যেহেতু স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান-“ আমার রসূল ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে যা আদেশ করেন তা মান্য করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেন তা থেকে বিরত থাক”। এখন ওহাবীরা যেহেতু মনূষ্য শয়তান তাই তারা আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক মানতে নারাজ। এজন্যই তারা পবিত্র শবে বরাতের সহীহ বর্ননাকে বানোয়াট বলে বর্জন করে। নাউজুবিল্লাহ!
No comments:
Post a Comment