“শবে বরাতের রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সুনির্দিষ্ট ইবাদত বন্দেগী করেছেন বলে সহীহ হাদীসে বর্নিত হয়নি। অনুরুপভাবে কোন সাহাবী থেকেও কিছু বর্নিত হয়নি। তাবেয়ীনদের মধ্যে তিনজন ব্যাতীত আর কারো থেকে বর্নিত হয়নি।” নাউজুবিল্লাহ! ! সুত্র/ ড: আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ যাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক, আল ফিক্বহ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
বদ ্্আক্বীদা বদ আমলধারী ওহাবীদের উক্ত মিথ্যা বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়, তারা তো সহীহ হাদীস শরীফকে স্বীকারই করেনা। অথচ আমরা হাজার হাজার সহীহ হাদীস শরীফ বর্ননা করতে পারি যা ওহাবীরাও জানে যেগুলো থেকে পবিত্র শবে বরাত পালন করা উম্মাহর জন্য ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে যায়। আর সহীহ হাদীস শরীফ হযরত ছাহাবায়ে আজমাঈন রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ননা করেছেন বলেইতো সেগুলো হাদীস শরীফ এর কিতাবে এসেছে। উনারা যদি কিছু বর্ননা না করে থাকেন তবে হযরত তাবেয়ীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন (ওদের মতে তিনজন) উনারা কি তাহলে হাওয়া থেকে সেগুলো বর্ননা করেছেন? মূলত; হযরত তাবেয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের থেকে পবিত্র শবে বরাতের রাত্রিতে সুস্পষ্ট ইবাদত বন্দেগী করার বিস্তারীত দলীল প্রমান লাভ করার কারনেই সেগুলো উনারা পরবর্তী গনের নিকট বর্ননা করেছেন। এখন ওহাবীদের নিকট জিজ্ঞাসা, খায়রুল কুরুনের উনারা কি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুসরনীয় দলীল নন? উনাদের বর্ননা এবং আমল যদি মুসলমানদের জন্য দলীল না হয় তবে যে সমস্ত ওহাবী মৌলুভীরা হরদম হারাম ছবি তোলে ভিডিও করে, বেপর্দা হয়, সুন্নতী পোষাক ছেড়ে বিদাতী পোষাক পড়ে, রাজতন্ত্রের গোলামী করে, ইহুদী নাছারা মুশরিকদের সাথে দোস্তী করে তাদের বর্ননা মুসলিম উম্মাহ কি করে গ্রহন করতে পারে! তারা হাজারো মিথ্যা ছল চাতুরী দিয়ে এতসব হারামকে হালাল করতে পারলে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত বন্দেগীর মত হালাল জায়িজ আমলকেও হারাম বিদয়াত বলে পরিত্যাগ করতে পারেনা একথাও বা কিভাবে বিশ্বাস করা যায়!
No comments:
Post a Comment