Total Pageviews

Saturday, July 16, 2011

একমাত্র চরিত্রহীন গুমরাহ মনুষ্য শয়তানরাই পবিত্র শব-ই-বরাত এর বিরোধীতা করে থাকে - ১০

পবিত্র শবে বরাত যা পবিত্র কুরআন শরীফ এ “লাইলাতুম্ মুবারকা” এবং হাদীস শরীফ এ “লাইলাতুন্ নিছফি মিন শাবান” শব্দে এসেছে এর বিরোধীতায় সৌদী ওহাবী গং এবং তাদের বদ আক্বীদার অনুসারী দেশী বিদেশী উলামায়ে ছু গং এমনসব কথা বার্তা বলছে, লিখালিখি করছে যা তাদেরকে কাট্টা মালাউন ইবলিশ শয়তানের খাস শাগরীদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। যেমন সৌদী ওহাবীদের কানা দাজ্জাল হিসেবে কুখ্যাত মূফতে ইবনে বাজের এদেশীয় শিষ্য  লিখেছে-

“শুধুমাত্র ইকরিমা থেকে বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেন- এ আয়াত দ্বারা (সুরা দুখানের লাইলাতুম মুবারকা শব্দ দ্বারা) শাবানের মধ্য রাত্রিকে বুৃঝানো হয়েছে। এটি একটি অগ্রহনযোগ্য বর্ননা।” নাউজুবিল্লাহ!

যাক! সৌদী ওহাবী দালাল মৌলুভীরা এটা বলেনি যে, হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যে পবিত্র কালামুুল্লাহ শরীফ এর সুরা দুখানের তাফসীরে যা বলেছেন সেটা একটি মিথ্যা বানানো মনগড়া বানোয়াট রেওয়ায়েত! তারা স্বীকার করেছে মূলত; স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এও শবে বরাত এর কথা রয়েছে এ ব্যাপারে হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একমত পোষন করেছেন। আমরা আরো বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পেরেছি উক্ত আয়াত শরীফ এর তাফসীরে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও বলেছেন, লাইলাতুম মুবারকা দ্বারা পবিত্র শবে বরাত এর রাত্রিকেই বুঝানো হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! এখন তাহলে মুমিন মুসলমানদের জিজ্ঞাসা, পবিত্র কুরআন শরীফ এর তাফসীর এর হাকিকত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বেশী বুঝেছেন নাকি এই সমস্ত ওহাবী বিদাতীর দল বেশী বুঝেছে? তাহলে তারা কি করে বলতে পারলো হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুৃ উনার মতটি অগ্রহনযোগ্য! আমরা বলতে চাই, হযরত ইকরিমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মতটি অগ্রহনযোগ্য বাতিল এমন কথা কি অন্য কোন ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন? কষ্মিনকালেও বলেন নি। একারনেই নুরে মুজাসসাম, হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাবধান করে ইরশাদ করেছেন, “আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা মন্দ বলোনা, উনাদের সমালোচনা করো না।” কত বড় পথভ্রষ্ট হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বর্নিত তাফসীরকে অগ্রহনযোগ্য বলা যায় সেটা ফিকির করা উচিত। মুলত; এরা কাট্টা মালাউন ইবলিশ শয়তানের কায়মোকাম যার কারনে তারা  হারামকে হালাল করছে এবং হালালকে হারাম করছে। নাউজুবিল্লাহ!

No comments:

Post a Comment