পবিত্র শবে বরাত যা পবিত্র কুরআন শরীফ এ “লাইলাতুম্ মুবারকা” এবং হাদীস শরীফ এ “লাইলাতুন্ নিছফি মিন শাবান” শব্দে এসেছে এর বিরোধীতায় সৌদী ওহাবী গং এবং তাদের বদ আক্বীদার অনুসারী দেশী বিদেশী উলামায়ে ছু গং এমনসব কথা বার্তা বলছে, লিখালিখি করছে যা তাদেরকে কাট্টা মালাউন ইবলিশ শয়তানের খাস শাগরীদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। যেমন সৌদী ওহাবীদের কানা দাজ্জাল হিসেবে কুখ্যাত মূফতে ইবনে বাজ লিখেছে-
“এ রাতের (শবে বরাতের) ফজীলতের ব্যাপারে কয়েকটি দুর্বল হাদীসের উল্লেখ পাওয়া যায় যা হাদীস নিরীক্ষার বিচারে গ্রহনযোগ্য নয় কোনভাবে” নাউজুবিল্লাহ! (সূত্র;ইসলাম প্রচার ব্যুরো,রাবওয়া/রিয়াদ)
এখন এই কানা ইবনে বাজের আ›দ্ধা অনুসারীদের নিকট জিজ্ঞাসা, যদি শবে বরাত এর ফজীলতের ব্যাপারে কোন দুর্বল হাদীস শরীফও থেকে থাকে তাহলে তো শবে বরাত এর অস্তিত্ব দ্বীন ইসলাম এ রয়েছে সেটা প্রমানিত হচ্ছেই। এরপর কথা হচ্ছে, নুরে মুজাসসাম, হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীস শরীফকে দুর্বল বলা হচ্ছে আর সৌদী ওহাবী ইবনে বাজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কি তবে সবল? তাদের কথা কি সবল? তাদের আমল কি সবল? তাদের ঈমান কি সবল? সেটাও মুসলমানরা যাচাই বাছাই করে দেখতে চায়। আমরা ব্যাপক তথ্য প্রমান ও সাক্ষ্যের আলোকে জানি যে, সৌদী ওহাবী মৌলুভীরা হরদম ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, শরয়ী পর্দা অমান্য করে, সলফে সালেহীনদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অথচ এগুলো করা কাট্টা হারাম তথা নিষিদ্ধতা সম্পর্কে কুরআন শরীফ ও সহীহ হাদীস শরীফ এর অসংখ্য-অগনিত প্রামান্য দলীল রয়েছে। এত দলীল আদীল্লাহ থাকার পরও মুফতে ইবনে বাজ ও তার চেলারা যখন জগন্য হারাম কুফরীতে লিপ্ত তখন হাদীস শরীফকে দুর্বল বলার অধিকার এরা কোন দূ;সাহসে দেখায়? এদের নিজেদের ঈমান আমলইতো প্রচন্ড রকমের দুর্বল। কাট্টা ফাসিক আর চরম চরিত্রহীন হলেই সৌদী ওহাবী সরকারের গ্রান্ড মুফতী হওয়া যায় কিন্তু হক্কানী রব্বানী আলিম হওয়া যায়না। হক্কানী রব্বানী আলিম উলামা ইমাম মুজতাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন উনারা পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন এবং উম্মাহ যাতে তা পালন করতে পারে সেজন্য উনারা পবিত্র হাদীস শরীফগুলো উত্তমরুপে কিতাব পত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন। উনারা সহীহ মনে করেই তা করেছেন। সৌদী ইবনে বাজ ওহাবীদের মত যদি উনারা সেগুলো দুর্বল বা অগ্রহনযোগ্য মনে করতেন তাহলে কোনদিনই সেগুলো বর্ননা করতেন না।
No comments:
Post a Comment