Total Pageviews

Friday, June 6, 2014

এ বছরের জন্য আগামী ১৪ই আউওয়াল ১৩৮২ শামসী, ১৩ই জুন ২০১৪ ঈসায়ী, জুমুয়াবার দিবাগত রাতই হচ্ছে ‘পবিত্র শবে বরাত’।


পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’-ই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান”। যা ফার্সী ভাষায় ‘পবিত্র শবে বরাত’ হিসেবে মশহুর।
এ বছরের জন্য আগামী ১৪ই আউওয়াল ১৩৮২ শামসী, ১৩ই জুন ২০১৪ ঈসায়ী, জুমুয়াবার দিবাগত রাতই হচ্ছে ‘পবিত্র শবে বরাত’।
যা মুসলমান উনাদের জন্য দোয়া কবুলের খাছ রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাজাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত ও রিযিকের ফায়ছালার খাছ রাত।

তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছ উনার সাথে আসন্ন পবিত্র শবে বরাত পালন করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন অর্থাৎ ১৩, ১৪ ও ১৫ শা’বান শরীফ বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র শবে বরাত পালনে এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’ উনার মধ্যে পবিত্র শবে বরাত উনাকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ বা বরকতময় রাত বলা হয়েছে। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান” বা “মধ্য শা’বান শরীফ উনার রাত্র” অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র বলা হয়েছে। এটাই মূলত সারাবিশ্বে ‘পবিত্র শবে বরাত’ হিসেবে মশহুর। এ রাত মুসলমান উনাদের দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাজাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত ও রিযিকের ফায়ছালার রাত। সুবহানাল্লাহ!
আসন্ন পবিত্র শবে বরাত উনার ফাযায়িল-ফযীলত গুরুত্ব আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়। পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার প্রথম রাত্র, পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র, পবিত্র ক্বদর উনার রাত্র এবং পবিত্র দু’ঈদ উনাদের দু’রাত্র।” কাজেই এ বরকতময় পবিত্র বরাত উনার রাতে ইয়াক্বীনের সাথে যত দোয়াই করা হোক না কেন, অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি সে দোয়াগুলো কবুল করবেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে আরো বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা পবিত্র বরাত উনার রাত্রি পাবে তখন তোমরা সারারাত্রি জেগে-জেগে নামায-কালাম পড়বে বেশি বেশি দোয়া ও তওবা-ইস্তিগফার করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে এসে অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করে ফজর তথা ছুবহি ছাদিক হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা দিতে থাকেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী আছো কী? তাকে আমি ক্ষমা করে দিবো। কেউ রিযিক প্রার্থী আছো কী? আমি তাকে রিযিক দান করবো। কেউ বিপদগ্রস্ত আছো কী? আমি তার বিপদ দূর করে দিবো।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই বান্দা-বান্দীগণ যদি এ রাতে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে, তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী উনাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং পবিত্র শবে বরাত উনার সকল রহমত, বরকত ও নিয়ামত দান করবেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি কাউকে ক্ষমা করার জন্যে, রহমত করার জন্যে, তার মর্যাদা-মর্তবা দেখেন না। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা উসীলা পেলেই বান্দা-বান্দী উনাদেরকে ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- এ বছরের জন্য আগামী ১৪ই আউওয়াল ১৩৮২ শামসী, ১৩ই জুন ২০১৪ ঈসায়ী, জুমুয়াবার দিবাগত রাতই হচ্ছে ‘পবিত্র শবে বরাত’। যা মুসলমান উনাদের জন্য দোয়া কবুলের খাছ রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাজাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত ও রিযিকের ফায়ছালার খাছ রাত। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছ উনার সাথে আসন্ন পবিত্র শবে বরাত পালন করার জন্য এখন থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন অর্থাৎ ১৩, ১৪ ও ১৫ শা’বান শরীফ বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র শবে বরাত পালনে যথাযথ ব্যবস্থা, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করা।

No comments:

Post a Comment